১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস্ দিবস। বিশ্বব্যাপী এবছর এইডস্ দিবসের স্লোগান হল, “Overcoming disruption, transforming the AIDS response’ | অর্থাৎ “ব্যাঘাত কাটিয়ে ওঠা, এইডস্ প্রতিক্রিয়ার রূপাস্তর।” প্রতিবছর সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশন এই দিনটিতে এইডস্ও থ্যালাসেমিয়া-র মতন মারণ রোগকে নিমুর্ল করার লক্ষ্য নিয়ে শহরে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেয়। এবছর ৭ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস্ দিবসে সকালে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে একটি সুদৃশ্য র্যালি র উদ্বোধন করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি স্বামী সারদাত্মানন্দ, সম্পাদক সঞ্জীব আচার্য সহ সংগঠনের কার্যকরী কমিটির সকলে

এবারের র্যালিকে উৎসর্গ করা হয়েছে বিশ্বজয়ী মহিলা ক্রিকেটার ও বিশ্বজয়ী দৃশ্য প্রতিবন্দী মহিলা ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যে। এদিন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট গুণীজন, সমাজসেবীগণ, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত কিশোর-কিশোরীরা ও বিশেষভাবে অক্ষমদের প্রশিক্ষণের জন্য সংগঠন ভরসার ছাত্রছাত্রীরা এবং সংগঠনের সমস্ত সদস্যবৃন্দ ও অসংখ্য ক্লাব সংগঠনের উদ্যোক্তা এবং সদস্যরা।

সঙ্গে ছিল রক্তদান এবং থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত বিশেষভাবে প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য বসে আঁকা প্রতিযোগিতা এবং বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজসেবীদের নিয়ে একটি মনোজ্ঞ সেমিনার।
এবারের রক্তদান উৎসবে প্রীয় দেড় শতাধিকরক্তদাতা রক্তদান করেছেন।

বিগত বছরগুলোর মতো এবারও ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ রবিবার সকালে সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশনের উদ্যোগে এক বিশাল বর্ণাঢ্য সচেতনতা র্যালি শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় থেকে শুরু হয়ে বিধানসরণী, বিডন স্ট্রিট, চিত্তরপ্রন এভিনিউ, বাগবাজার অতিক্রম করে শ্যামবাজার পর্যস্ত পথ পরিক্রমা করে। এছাড়া থ্যালাসেমিয়া, প্রতিবন্ধকতা এবং এইডস নিয়ে একটি মুক্ত ওয়ার্কশপে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট চিকিৎসকবৃন্দ। র্যালি র শুরুতেই সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সমাজের প্রতিটি অংশের মানুষ সচেতন হোক, এটাই আমাদের এই উদ্যোগের মূল অভিমুখ। সমস্যায় জর্জরিত প্রত্যেক মানুষ চায় সুস্থ থাকতে এবং সেই সম্ভাবনাকেই আমরা বিরামহীন প্রচারের মাধ্যমে তুলে ধরি সারা বছর ধরে।

এই সচেতনতা র্যালিতে ছিল প্রতিবন্ধীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, এইডস্ ও থ্যালাসেমিয়ার সংক্রান্ত গান, সঙ্গে মুখাভিনয় ও নৃত্য। বিশ্বজয়ী ভারতের মহিলা ক্রিকেট, জুবিন গর্গ, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোধে নিবিড় প্রচারের কর্মসূচী সংক্রান্ত ছোট বড় মিলিয়ে মোট ১৩টি সুদৃশ্য ট্যাবেলো ছিল এই র্যালিতে।
ইউনেসকোর স্বীকৃতি পাওয়া বাংলার দুর্গাপূজাকে র্যালি তে বিশেষ ভূমিকায় তুলে ধরা হয়েছে। চলার পথে মানুষের এই মিছিলকে স্বাগত জানিয়েছে ১৫টি ক্লাব সংগঠন।
