WhatsApp Image 2025-10-06 at 8.33.05 PM (1)
Spread the love

কলকাতা, ভারত, ৪ অক্টোবর, ২০২৫: বাংলা এক শিক্ষিত মন, নিবেদিতপ্রাণ সৃষ্টিকর্তা এবং ঐতিহ্যরক্ষকদের ভূমি— এক সৌভাগ্যবান রাজ্য। কবি, দার্শনিক, গায়ক কিংবা গুরু— প্রতিটি প্রজন্মই নিজেদের উচ্চ মান বজায় রেখে সৃজনশীলতার দীপশিখা জ্বালিয়ে রেখেছে। এই সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার কেবল শিল্প নয়, এটি এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে পৌঁছে দেওয়াই ছিল জীবন্ত সম্পদ— এমনই অনুভব প্রকাশ করলেন প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী জয় বড়ুয়া।

“সঙ্গীতের প্রকৃতি হলো অনুভূতি জাগানো, চিন্তা উস্কে দেওয়া, আপনাকে এক অন্য জগতে নিয়ে যাওয়া। এটাই শিল্পের স্বভাব, এটাই সঙ্গীতের স্বভাব। বাংলা সঙ্গীত তার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, লেখা, ভাবনা ও শিল্পকুশলতার মাধ্যমে আমাকে নানা জায়গায় নিয়ে যায়। বাংলা এক অত্যন্ত সৌভাগ্যবান রাজ্য। এখানে শিক্ষা, মানুষ, এমন চিন্তক জন্মেছেন। যারা লিখেছেন, যারা তার উত্তরাধিকারী দিয়ে গেছেন, তারা মান বরাবর বজায় রেখেছেন। তাই আগামী প্রজন্মের দায়িত্ব এই যে তারা যেন বুঝতে পারে তাদের উপর অর্পিত এই প্রজন্মগত সম্পদের মূল্য,” টুরিয়া টকসে বলেন জয় বড়ুয়া।

এই পর্বের সূচনা হয় শিল্প, সংস্কৃতি ও সৃষ্টিশীলতার উদযাপনের মাধ্যমে। গোটা পর্বটি দর্শক-শ্রোতাদের নিয়ে যায় এক অনুপ্রেরণাদায়ক ও হৃদয়স্পর্শী কথোপকথনের যাত্রায়। পুরো পর্বে শোনা যাবে জয় বড়ুয়ার জীবনের গল্প, তাঁর সৃষ্টিশীল দর্শন, এবং সেই অদম্য বিশ্বাস— যে আবেগই সাফল্যের নিশ্চিত পথ।

জয় বড়ুয়া বহুদিন ধরেই ভারতের অন্যতম বহুমুখী ও পরীক্ষাধর্মী সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে খ্যাত। তিনি সঙ্গীতের ভিন্ন ধারাকে একত্রে তৈরি করে এমন এক সুর সৃষ্টি করেন, যা ভারতীয় ও বৈশ্বিক সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পরিচালিত অরিজিৎ বসুর সঞ্চালনায় এই পর্বে শ্রোতারা শুনেছেন যে তার শিল্পযাত্রা, সঙ্গীতজগতের প্রতিকুলতা, এবং কিভাবে আবেগ-প্রেরণাই সৃষ্টিশীলতাকে অপ্রতিরোধ্য করে তোলে।

শুরু থেকেই টুরিয়া টকস কেবল একটি পডকাস্ট নয়, এটি অনুপ্রেরণার গল্প ভাগ করে নেওয়ার এক মঞ্চ। গত নয়টি সিজনে এই পডকাস্টে অংশ নিয়েছেন শিল্পী, উদ্যোক্তা, চিন্তানেতা ও পরিবর্তনশীল। প্রতিটি সিজনেই এর প্রভাব ক্রমশ বেড়েছে, আর দশম সিজন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে।

“প্রতিটি সিজনে টুরিয়া টকস-এর লক্ষ্য থাকে এমন কণ্ঠস্বরকে তুলে ধরা, যারা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। দশম সিজন শুরু করার জন্য জয় বড়ুয়াকে বেছে নেওয়া ছিল একদম স্বাভাবিক সিদ্ধান্ত— তাঁর যাত্রা আবেগ, অধ্যবসায় এবং শিল্পীসুলভ সততার এক উজ্জ্বল উদাহরণ,” সমাপ্তিতে জানাল টুরিয়া কমিউনিকেশনস এলএলপি-র দল, যারা টুরিয়া টকস পরিচালনা করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *