পরিচালক জয়ব্রত দাশ (ফিল্ম : The Academy of Fine Artrs) এবং সহ পরিচালক সৌরভ মুখার্জী আসন্ন সিনেমার এডিটিং শেষ করে মধ্যরাতে বাড়ি ফেরার সময় দেখতে পান একজন বৃদ্ধা কে, দক্ষিণ কলকাতার সাউথ সিটির সংলগ্ন কাটজুনগর এলাকায় রাস্তার মাঝে অদ্ভুতভাবে বসে থাকতে।
বৃদ্ধা হাঁটতে পারছিলেন না, হাত দিয়ে টেনে সামনের দিকে এগোনোর চেষ্টা করছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর ঠিকানা বা তার নাম বা পরিচিত কারুর ঠিকানা কোনটাই তাঁরা উদ্ধার করতে পারেননি।
পরিচালক জানান, বৃদ্ধা বিড়বিড় করে অনেক কিছু বলছিলেন তবে সে সমস্তই ছিল অসংলগ্ন ।রাস্তার মাঝখান থেকে তাকে কোনরকমে তুলে এনে রাস্তার পাশে বসানোর পর আশেপাশের প্রায় সমস্ত বাড়িতেই ওনারা লোকজনকে জাগিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেউ এই বৃদ্ধাকে চেনেন কিনা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কেউই এই বৃদ্ধাকে চিনতে পারেননি বা তার ঠিকানা বলতে পারেননি।
সৌরভ মুখার্জীকে বৃদ্ধাকে লক্ষ্য করতে রেখে পরিচালক জয়ব্রত দাশ তখন যাদবপুর থানায় গিয়ে যোগাযোগ করেন। থানায় জানানোর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সার্জেন সন্দীপ রায়ের সাথে পুলিশের একটি টিম জয়ব্রতর সাথে কাটজুনগর এ আসে ভোর চারটের সময়। বৃদ্ধাকে গাড়িতে তুলে তারপর শুরু হয় আরেক প্রস্থ খোঁজ। প্রায় ঘন্টা দুয়েক খোঁজের পর অবশেষে এক পথচারী চিনতে পারেন বৃদ্ধা কে, দেখিয়ে দেন বৃদ্ধার বাড়ি। জানা যায়, ওই বাড়িতে একাই থাকেন বৃদ্ধা এবং বয়সজনিত কারণে তাঁর মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে।
জয়ব্রত জানান, পুলিশ অত্যন্ত তৎপরতা এবং মানবিকতার সাথে পুরো বিষয়টি দেখেছে, বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার পর সার্জন সন্দীপ রায় বৃদ্ধাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করেন বলেও তিনি জানিয়েছেন। বৃদ্ধার নিকটতম আত্মীয়র সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং পরিচালক একটি এনজিওর সাথে এই বৃদ্ধার সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করেছেন।

