প্রযোজক: রোড এন্টারটেনমেন্ট ও ফিল্ম্স অ্যান্ড ফ্রেম্স যৌথ প্রযোজনা
পরিচালনায়:রাজদীপ ঘোষ
সিনেম্যাটোগ্রাফী : শুভজিত রায়
এডিটর: কৌস্তব সরকার
সহকারী পরিচালক: সৌরভ চক্রবর্তী
অভিনয়ে:
জয় সেনগুপ্ত
দিপান্বীতা রক্ষিত
জয়জিৎ ব্যানার্জি
অনুজা রায়
জিৎসুন্দর চক্রবর্তী
✨️ উল্লেখযোগ্য: ছোটো পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী, দিপান্বীতা রক্ষিতের এটাই প্রথম ওয়েব সীরিজ।
মূল কাহিনী👩🏽❤️💋👨🏾
| ডক্টর অনির্বাণ সেনগুপ্ত, সাইকোলজি প্রফেসর,পাহাড়ের কোলে এক ছিমছাম বাড়িতে একাই থাকেন… শুধু মাঝে মাঝে ছোট্ট মেয়ে তিন্নি আসে তার অনি আঙ্কেলের বাড়ি। তিন্নিকে ভীষণ ভালোবাসে অনির্বাণ, পুতুল বানিয়ে দেয়, চকলেট দেয়, ওদের শান্ত নিস্তরঙ্গ জীবনে হঠাৎ একদিন অফিসার ইন চার্জ, রজত প্রবেশ করে, কারণ জঙ্গলের রাস্তায় একটা ডেড বডি পাওয়া গেছে। খালি চোখে দেখলে মনে হয় অ্যাক্সিডেন্ট, কিন্তু পোস্টমর্টেম অন্য কথা বলে|
এটা খুন, তার তদন্ত করতেই রজতের অনির্বাণের বাড়িতে আসা, কারণ যে ছেলেটি খুন হয়েছে সেই ছেলেটি অনির্বাণের অত্যন্ত পরিচিত | শুধু তাই নয়, সে আবার অনির্বাণ এর প্রাক্তন ছাত্র |
তদন্ত করতে করতেই রজত অনির্বাণ এর কাছে তিন্নির কথা জানতে পারে | তিন্নির বাড়িতে গিয়ে রজত চমকে ওঠে, তিন্নি নাকি অনি আঙ্কেলের রেফ্রিজারেটরে একটা কাটা কান দেখতে পেয়েছে, তিন্নিকে একটা পুতুল বানিয়ে দেবে বলে অনির্বাণ সিলিকনের তৈরি হিউম্যান বডি পার্টস কিনে এনেছে। রজতের সন্দেহ দৃঢ় হতে থাকে |
রজত পুতুল টা দেখতে চায়, তিন্নি পুতুলটা রজতের কাছে আনতেই রজত পুতুলের একটা কান ছিঁড়ে সেটা ফরেন্সিকে পাঠায়।
কারণ তার কিছুদিন আগে পুলিশ একটা মেয়ের ডেড বডি জলাশয় এর কাছে পায়, যার কান, ঠোঁট এবং হাতের আঙুল নিপুন ভাবে কাটা |
রজত সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে পৌঁছয় অনির্বাণ এর বাড়ি, তারপর…
রজত এসিপির কাছে বলে, সে অনির্বাণের বাড়ি সার্চ করতে চায়, কারণ সে নিশ্চিত অনির্বাণ কিছু লুকোচ্ছে | না হলে কেউ হিউম্যান বডি পার্টস দিয়ে বাচ্চার জন্য পুতুল কেন বানাবে?
কার বিকৃত মনবৃত্তির যৌন ফ্যান্টাসী, কার প্রতি ভালোবাসা আর দুর্বৃত্তের ভারসাম্যহীন অনুসরণ করা লালসা, বাল্য কালের কিসের অপরাধ প্রবণতা … এরকম নৃশংস ঘটনাবলী ক্রমানুসারে কাহিনীর প্রেক্ষিতে উদয় হয়…
রহস্যময় এই বাড়িতে কি লুকোনো আছে? প্রফেসর অনির্বাণ কি সত্যিই এই খুনের ব্যাপারে কিছু জানে? রক্ত হীম করা ঘটনাচক্র নিয়েই আমাদের কাহিনী প্রফেসর সেনগুপ্ত|
পরতে পরতে রোমহর্ষক দুর্ধর্ষ ঘটনাবলীতে ভরা এই থ্রিলার আসছে আগামী জুলাই মাসে।
চোখ রাখতে হবে ক্লিক OTT প্ল্যাটফর্মে

রাজদীপ ঘোষ – পরিচালক
যখন KLiKK প্রথম এই প্রজেক্ট নিয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করে এবং আমি গল্পটি শুনি, তখনই আমি বুঝতে পারি যে এটি এমন একটি গল্প যা আমি আগে কখনও করিনি। আমি সবসময়ই এই ধরণের গল্প নিয়ে কাজ করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সুযোগটি আমার কাছে আসেনি – এখনও পর্যন্ত। স্বাভাবিকভাবেই, উত্তেজনা ছিল অপরিসীম। আমরা বিভিন্ন স্থানে শুটিং করেছি, যদিও আমরা অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি, কিন্তু পুরো দলের অটল সমর্থন আমাদের এই গল্পটিকে জীবন্ত করে তুলতে সাহায্য করেছে।
KLiKK-এর সাথে আমার সম্পর্ক শুরু হয় ২০২৩ যখন আমি #Bhagar সিরিজ টি তৈরী করি। সেদিন থেকে আজও পর্যন্ত সেই সম্পর্ক খুব ভালো। KLiKK-এর কর্ণধার মিস্টার অভয় কুমার তাঁতিয়া আমাদের অভিভাবকের মতন গাইড করেন আর সেটাতে আমাদের কাজ করা খুব সহজ হয়ে যায়। আর প্রজেক্ট এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মিস্টার নিরাজ তাঁতিয়া যেভাবে পাশে থেকে সমস্ত দিক থেকে পাশে থাকেন তা অনস্বীকার্য। একজন ক্রিয়েটর এর ক্রিয়েটিভ ফ্রিডম ঠিক যতটা দরকার KLiKK এর যেকোনো প্রজেক্ট-এ সেটা আমি পাই। আশা রাখবো ভবিষ্যতেও এরকম ভাবেই কাজ করতে পারবো।
KLiKK-এর সাথে এটা আমার চতুর্থ কাজ হলেও জয় সেনগুপ্ত, জয়জিৎ, দীপান্বিতা, জিৎ সুন্দর এদের সকলের সাথেই এটা আমার প্রথম কাজ। প্রথম কাজ হলেও শুটিং ফ্লোর এ সেটা আমি কখনোই বুঝতে পারিনি। আমাদের ইদানিং খুবই কম সময়ের মধ্যে শুটিং শেষ করতে হয়। অভিনেতা অভিনেত্রীদের পারফরমেন্স নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। এরা প্রত্যেকেই এই ইন্ডাস্ট্রিতে যথেষ্ট অভিজ্ঞ। আমার গাইডেন্স অনুযায়ী এরা অসাধারণ অভিনয় করেছেন আর তার রেজাল্ট সিরিজ বেরোলেই আপনারা দেখতে পাবেন।
দর্শকদের এটাই বলার, যে বিগত চার বছর ধরে KLiKK-এর এই নতুন ছন্দে সিরিজ-এর পরিবেশনের মধ্যে এটা একটা উপহার। ৫ এপিসোডের সাইকোলোজিক্যাল থ্রিলার। অসাধারণ অভিনয়, দুর্দান্ত সিনেমাটোগ্রাফি আর তার উপরে হৃদয়স্পর্শী মিউজিকাল ট্রিটমেন্ট

প্রফেসর সেনগুপ্ত নাম ভূমিকায় জয় সেনগুপ্ত:
কলকাতা ইন্ডাস্ট্রি প্রতিভায় সমৃদ্ধ হলেও, লম্বা দৌড়ের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চালানোর ক্ষেত্রে এখনো হয়তো কিছুটা পিছিয়ে।
অনেক প্ল্যাটফর্ম আশার আলো দেখিয়ে শুরু করেছিল, কিন্তু বেশিরভাগই টিকতে পারেনি—গুণগত গল্প বলা, আর্থিক স্থায়িত্ব ও নতুন দর্শক টানার মধ্যে ভারসাম্য রাখতে না পেরে। ক্লিক (KLIKK) এই দিক থেকে ব্যতিক্রম—ওরা শুধু টিকেই থাকেনি, দৃঢ়তার সাথে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়েওছে। তার জন্য অবশ্যই অভিনন্দন প্রাপ্য তাদের।
এটি ছিল ক্লিক এর সাথে আমার প্রথম বাংলা ওয়েব সিরিজ। এবং এই কাজটি মানসিক ভাবে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং লেগেছে—মানসিক বিপর্যয়ের স্মৃতি ও লালসার টানাপোড়েন, সংস্কার ও নৃশংসতার দ্বন্দ্ব—সবকিছুর ভারসাম্য বজায় রেখে এগোনো।
এই প্রজেক্টের পরিচালক রাজদীপ ঘোষ ও তার টিমের মধ্যে এক অসাধারণ মানসিকতা দেখেছি —যেটা আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে দুর্লভ। চিত্রনাট্য কিংবা সীমিত কোনো পরিধির গণ্ডিতে আটকে না থেকে একটা নির্দিষ্ট ভিশন পূরণের আকাঙ্ক্ষা। রাজদীপ ও চিত্রগ্রাহক শুভজিত রায় মিলে সেই ভিশনকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কারিগরি দক্ষতা ও শৈল্পিক নিপূনতা নিয়ে এসেছেন, যা একটি মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমি আশা করি দর্শকরা এই প্রজেক্টের পরিশ্রম ও সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করবেন ও প্রশংসা করবেন।
বহু স্বাধীন চলচ্চিত্রে কাজ করে আমি নানা রকম কষ্টে অভ্যস্ত। তবুও এই প্রজেক্টে কিছু বিশেষ ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল— সীমিত সময়, প্রচণ্ড গরম, আর প্রযুক্তিগতভাবে দুঃসাধ্য কিছু দৃশ্য নির্মাণের উচ্চাকাঙ্ক্ষা। আশা করি, আমরা সেগুলি সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।
শুভেচ্ছা রইল সকল নির্মাতা ও দর্শকের প্রতি।

জয়জিৎ ব্যানার্জি- অভিনেতা
KLiKK-এর সাথে দ্বিতীয়বার কাজ করার অভিজ্ঞতা সত্যিই ঘরে ফেরার অনুভূতি হয়েছিল। অভিজ্ঞতাটি অসাধারণ ছিল। যেহেতু শুটিংটি আমার প্রিয় গন্তব্যগুলির মধ্যে একটিতে ছিল, তাই আমি প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি – বিশেষ করে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, বাতাসে ঠান্ডার আভাস এবং আমাদের চারপাশের প্রকৃতি। আবহাওয়া নিখুঁত মেজাজ তৈরি করেছিল, এবং পোকামাকড়ের শব্দ এবং মাঝে মাঝে লোডশেডিংয়ের মধ্যে আমাদের শুটিং-পরবর্তী আড্ডা আরও স্মরণীয় করে তুলেছিল!
দীর্ঘ বিরতির পর একজন পুলিশের চরিত্র করা অবশ্যই একটি চ্যালেঞ্জ ছিল, বিশেষ করে যখন আজকাল এত অভিনেতা ইউনিফর্ম পরে থাকেন। আমি জানতাম যে আমাকে আলাদা করে দেখাতে একটু অতিরিক্ত ‘লবণ এবং মরিচ’ যোগ করতে হবে – এবং আমার মনে হয় আমি ঠিক তাই করেছি!
পরিচালক হিসেবে রাজদীপের সাথে এটি আমার প্রথমবার কাজ ছিল, এবং আমি অবশ্যই বলব, এটি একটি দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা ছিল। তিনি স্পষ্টভাষী ছিলেন, তিনি ঠিক কী চান তা জানতেন। স্ক্রিপ্ট এবং সংলাপগুলি সত্যিই আমার সাথে ক্লিক করেছিল।
দর্শকদের অবাক করার জন্য অপেক্ষা করছে – এই পুলিশটি। হাস্যরসের কিছু দারুণ অনুভূতি নিয়ে আসে। সে প্রায় খুনিকে ধরেই ফেলে… কিন্তু বাকিটা জানতে আপনাদের দেখতে হবে প্রফেসর সেনগুপ্ত।

দিপান্বীতা রক্ষিত- অভিনেত্রী
এটি আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ, এবং আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ যে আমি এই গুরুত্বপূর্ণ ওয়েব ডেবিউ আত্মপ্রকাশের যাত্রাটি ক্লিক-এর সাথে করতে পেরেছি। আমি তাদের সম্পর্কে অনেক কিছু শুনেছি, এবং এখন ক্লিক পরিবারের একটি অংশ হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আমার সহ-অভিনেতারা দারুণ ছিলেন, এবং শুটিং সেটে আমাদের খুব স্বাচ্ছন্দ্যের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। যদিও মনোরম পাহাড়ে শুটিংয়ের সময়সূচি খুবই ব্যস্ত ছিল এবং আবহাওয়া কখনও কখনও বেশ বিপজ্জনক ছিল, আমি ছোট এই অ্যাডভেঞ্চারের অভিজ্ঞতাটি পুরোপুরি উপভোগ করেছি।
প্রফেসর সেনগুপ্ত একটি গভীর স্তরযুক্ত গল্প, এবং আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি যে আমি জয় সেনগুপ্ত এবং জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রতিভাবান সিনিয়রদের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, যাদের আমি ছোটবেলা থেকে পর্দায় দেখে বড় হয়েছি। আমার সমসাময়িক জিৎসুন্দর এবং অনুজার সাথে অভিনয় করেও খুব উপভোগ করেছি। যদিও আমরা প্রথমবার একসঙ্গে কাজ করছিলাম, আমরা একে অপরের সঙ্গে ভালো বন্ধন গড়ে তুলেছি এবং আমাদের অভিনয় আরও ভালো করার জন্য একে অপরকে সাহায্য করেছি।
সরল, তরুণ কর্মজীবী মেয়ে শ্রেষ্ঠার চরিত্র ফুটিয়ে তোলা একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা ছিল। সে তার কাজ এবং ভালোবাসার জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখে। সে একজন সাধারণ, সুন্দরী মেয়ে যার মুখে সবসময় হাসি লেগে থাকে এবং সে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারে ও মানুষের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা তৈরী করতে পারে।
আমি অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে এই সিরিজের ট্রেলার লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করছি।
