কলকাতা, ১৮ই জুলাই ২০২৫: ১৮ই জুলাই ২০২৫-এ, সল্টলেক সেক্টর-ভি-তে অবস্থিত ‘ধরিত্রী’ ভবনে “ন্যাশনাল ল্যান্ডস্লাইড ফোরকাস্টিং সেন্টার” (NLFC)-এর প্রথম বার্ষিকী উদযাপন করতে চলেছে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (GSI)। এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করবেন শ্রী অসিত সাহা, মহাপরিচালক, জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মিস প্রিয়াঙ্কা সিংলা, আইএএস, বিশেষ সচিব, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (WBSDMA)। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন GSI-এর শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক ও বিভিন্ন অংশীদার প্রতিষ্ঠানসমূহ।
গত এক বছরে, GSI ভারতের ভূস্খলন পূর্বাভাস ব্যবস্থার (Landslide Early Warning System – LEWS) উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধন করেছে। বর্তমানে ৮টি ভূস্খলনপ্রবণ রাজ্যের ২১টি জেলায় (১৮টি পরীক্ষামূলক ও ৩টি অপারেশনাল) দৈনিক ভিত্তিতে পূর্বাভাস বুলেটিন জারি করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি ও পদ্ধতি গ্রহণের মাধ্যমে পূর্বাভাস এবং বিপর্যয় প্রশমনের ক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এই অর্জনকে স্মরণীয় করে রাখতে, GSI একদিবসীয় একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছে (হাইব্রিড প্ল্যাটফর্মে), যেখানে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি, জাতীয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (NDMA), ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর (IMD), ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার-ISRO, IIT ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত বিশেষজ্ঞ ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পেশাজীবীরা। আলোচনার মূল বিষয় হবে ভূস্খলন পূর্বাভাস প্রযুক্তির অগ্রগতি, উদ্ভাবন ও ভবিষ্যতের রোডম্যাপ।
GSI প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের পূর্বাভাস ব্যবস্থা আরও মজবুত করতে। এই উদযাপন শুধুমাত্র একটি বছরের অগ্রগতির প্রতিফলন নয়, বরং একটি আরও নিরাপদ ও দুর্যোগ-প্রতিরোধী ভবিষ্যতের দিশা নির্দেশ করে।
—
*জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (GSI) সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ:*
জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (GSI)-এর প্রতিষ্ঠা ১৮৫১ সালে, মূলত রেলপথের জন্য কয়লার সন্ধানে। কালের পরিক্রমায় এটি ভারতের ভূবিজ্ঞান সংক্রান্ত তথ্যভাণ্ডারে পরিণত হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একটি ভূবিজ্ঞান সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এর মূল কাজগুলির মধ্যে রয়েছে জাতীয় ভূবিজ্ঞান তথ্য প্রস্তুত ও হালনাগাদ করা এবং খনিজ সম্পদের মূল্যায়ন। এই উদ্দেশ্যে স্থল, আকাশ ও সামুদ্রিক জরিপ, খনিজ অনুসন্ধান, বহু-আঙ্গিক ভূবিজ্ঞান ও পরিবেশগত গবেষণা, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, হিমবাহ, ভূকম্পন ও মৌলিক গবেষণা পরিচালনা করা হয়।
GSI-এর মূল ভূমিকা হলো নীতিনির্ধারণ, বাণিজ্যিক ও সামাজিক প্রয়োজন মেটাতে নিরপেক্ষ ও আপডেটেড ভূবিজ্ঞান তথ্য প্রদান। ভারত ও উপকূলবর্তী অঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ার পুঙ্খানুপুঙ্খ দলিলীকরণেও জোর দেওয়া হয়। সংস্থাটি ভূতাত্ত্বিক, ভূ-ভৌতিক ও ভূ-রাসায়নিক জরিপের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে এই কাজ সম্পন্ন করে।
জরিপ ও মানচিত্রায়নে GSI-এর মূল দক্ষতাকে উন্নত করা হয় স্থানিক তথ্যভান্ডারের সঞ্চয়, ব্যবস্থাপনা, সমন্বয় ও ব্যবহারের মাধ্যমে, যার মধ্যে রিমোট সেন্সিং-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত ডেটাও রয়েছে। এটি ‘তথ্য ভাণ্ডার’ হিসেবেও কাজ করে এবং আধুনিক কম্পিউটার ভিত্তিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ভূবিজ্ঞান তথ্য বিতরণ করে, অন্যান্য অংশীদার সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতায়।
কলকাতাস্থ GSI-এর সদর দফতর ছাড়াও লখনউ, জয়পুর, নাগপুর, হায়দরাবাদ, শিলং এবং কলকাতায় ছয়টি আঞ্চলিক অফিস এবং প্রায় প্রতিটি রাজ্যে রাজ্য ইউনিট অফিস রয়েছে। GSI ভারত সরকারের খনি মন্ত্রকের অধীন একটি সংযুক্ত সংস্থা।

Partner with us and enjoy high payouts—apply now! https://shorturl.fm/iwnVy