কলকাতা, ৭ এপ্রিল, ২০২৫: ‘এই সময় দীপ্তি ২০২৫’-এর মুকুট উঠল কলকাতার ঋতুপর্ণা দাসের মাথায়। দীপ্তির মুখ তথা টলিউডের জনপ্রিয় তারকা শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকেই বিজয়ীর মুকুট গ্রহণ করেন ঋতুপর্ণা। জে ডব্লিউ ম্যারিয়ট, কলকাতায় আয়োজিত বর্ণময় গ্র্যান্ড ফিনালেতে প্রথম রানার-আপ হন ব্যারাকপুর, উত্তর ২৪ পরগনার তিথি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দ্বিতীয় রানার-আপ হন বর্ধমানের আরফিন ইয়াসমিন।

দীপ্তি ২০২৫-এর মুখ হিসেবে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের বর্ধমান থেকে টলিউডের শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী হয়ে ওঠার অসাধারণ যাত্রা দীপ্তির মূল ভাবনাকেই প্রতিফলিত করে—স্বপ্নের কোনও সীমা থাকে না। তারকাখচিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট বিচারকরা ও বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। শুভশ্রী ছাড়াও বিচারক প্যানেলে ছিলেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার, অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী, পরিচালক প্রতীম ডি. গুপ্ত, অভিনেত্রী আলেকজ়ান্দ্রা টেলর, বিশিষ্ট ফটোগ্রাফার সোমনাথ রায়, ডিজাইনার সন্দীপ জয়সওয়াল, কাস্টিং ডিরেক্টর সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়, অভিনেত্রী পিয়ান সরকার এবং উদ্যোগপতি প্রতিভা দুধোরিয়া।

দীপ্তির যাত্রা শুরু হয়েছিল বিভিন্ন কলেজ ক্যাম্পাস থেকে প্রাথমিক রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে। এবছর প্রথমবার কলকাতার গণ্ডি পেরিয়ে দীপ্তি পৌঁছে যায় জেলার দর্শনেও। উত্তরবঙ্গ, বর্ধমান, মেদিনীপুর এবং কলকাতা—এই চারটি জোনে জোনাল অডিশনের মাধ্যমে প্রায় ৩,০০০ প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে নির্বাচিত হন ২০ জন প্রতিযোগী। এই অডিশনের বিচারক ছিলেন পিয়ান সরকার, সন্দীপ জয়সওয়াল এবং সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়।

ফাইনালিস্টদের গ্রুমিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স ২০১০, উষসী সেনগুপ্ত। র্যাম্প ওয়াক, পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্ট এবং এথিকেটের মতো বিষয়ে তিনি তাদের প্রশিক্ষণ দেন।

২০১৪ সালে শুরু হওয়া এই সময় দীপ্তি আজ শুধুমাত্র একটি বিউটি পেজেন্ট নয়—এটি হয়ে উঠেছে আত্মবিশ্বাস, স্বাধীনতা ও আধুনিক ভারতীয় নারীত্বের এক শক্তিশালী মঞ্চ। ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ছাত্রী, পেশাদার, গৃহবধূ থেকে শুরু করে উদ্যোক্তা—সবাই এই মঞ্চে নিজেদের স্বপ্নের প্রকাশ ঘটানোর সুযোগ পেয়েছেন।

এই সময় দীপ্তি ২০২৫-এর বিজয়ীরা কাজের সুযোগ পাবেন হইচই, এসভিএফ মিউজিক ও এসভিএফ ট্যালেন্ট-এর সঙ্গে, যা সরাসরি বিনোদন জগতে প্রবেশের দরজা খুলে দেবে এবং তাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার পথ তৈরি করবে।
