৫৪ টা চেঞ্জ এর পরেও অ্যাডাল্ট সার্টিফিকেট !
কি এমন আছে একাডেমি অফ ফাইন আর্টসে ?
সেন্সরে এবং অ্যানিম্যাল পারমিশনে দেরি হওয়ার জন্য পিছিয়েছে ছবি মুক্তি। গত জুলাই মাসে সমস্ত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল দি একাডেমি অফ ফাইন আর্টস ।
অবশেষে ৫৪ টা চেঞ্জেস এর পর সেন্সরের ছাড়পত্র মিলল একাডেমি অফ ফাইন আর্টসের, অবশ্য এডাল্ট সার্টিফিকেটের সাথে।
ছবি মুক্তি পাচ্ছে আগামী 14 ই নভেম্বর 2025।
লম্বা চেঞ্জেস এর লিস্টের পরেও অ্যাডাল্ট সার্টিফিকেট সাম্প্রতিক কালে বাংলা ছবির ক্ষেত্রে নজিরবিহীন। কি বলছেন নবীন পরিচালক জয়ব্রত দাশ? অবিশ্বাস্য ভাবে পরিচালকের সুর উল্টো । তিনি জানান , মাত্র ৫৪টা পরিবর্তনে ছবির কোনো সমস্যাই হবে না । তিনি আরো অনেক বেশি কাটস্ আর চেঞ্জেস এর জন্যে প্রস্তুত ছিলেন। তাঁর হিসেবে সেন্সর বোর্ড যা যা সাজেস্ট করেছে, সব কটাই জাস্টিফায়েড।
কিন্তু হঠাৎ চিলড্রেনস ডে তে অ্যাডাল্ট ছবি মুক্তির সিদ্ধান্ত কেন ? ছবির সহ -প্রযোজক সৌম্য সরকার এবং সংকেত মিশ্র জানান , প্রতিবছরই শিশু দিবসে বাচ্চাদের জন্য ছবি মুক্তি পায়, এই বছর নাহয় বড় হয়ে যাওয়া বাচ্চাদের জন্য একটা ছবি মুক্তি পাক।
ফিল্ম ইনস্টিটিউট এর কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে, সম্পূর্ণ ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভাবে , নিজেদের নিজস্ব পুঁজি দিয়ে চার বছর ধরে এই ছবিটি তৈরি করেছেন জয়ব্রত। বহুবার বন্ধ হয়ে গেছে ছবির কাজ, আবার ফান্ড জোগাড় করে শুরু হয়েছে। মুখ্য ভূমিকায় রুদ্রনীল ঘোষ, সৌরভ দাস ,পায়েল সরকার , ঋষভ বসু , রাহুল অরুণোদয় ব্যানার্জি, অনুরাধা মুখার্জী , সুদীপ মুখার্জি,অমিত সাহা অনিন্দ্য পুলক ব্যানার্জি , রানা বসু ঠাকুর , অঞ্জন রায় চৌধুরী প্রমুখ।

পরিচালক জানান এটি একটি পাল্প অ্যাকশন থ্রিলার। বলা যেতে পারে প্রখ্যাত পরিচালক কুইন্টন ট্যারান্টীনোর প্রতি ভালোবাসার শ্রদ্ধার্ঘ্য। তবে অ্যাকশন থ্রিলার হলেও এই সিনেমায় অ্যাকশনের সাথে কমেডির জনরা বেন্ডিং করেছেন পরিচালক।
কিসের মূল প্রেক্ষাপটে ঘোরে গল্পের অলিগলি?
একটি অত্যন্ত দামি অ্যান্টিক মদের বোতল আর কয়েকজন ক্রিমিনাল। সবাই মিলে প্ল্যান করে এই দুর্লভ বোতল চুরি করার । সেই প্ল্যান অনুযায়ী কাজ করতে নেমেই ঘটতে থাকে একের পর এক রোমহর্ষক ঘটনা, তৈরি হতে থাকে প্ল্যান – অ্যান্টি প্ল্যান! ছলে বলে দখল বেদখল, বিশ্বাস ও বিশ্বাসঘাতকতার প্রেক্ষিতে সিনেমার গল্প আবর্তিত হয়েছে। পরতে পরতে টান টান উত্তেজনার পারদ বাড়ে নায়িকাদের উষ্ণ পরকীয়া, প্রতারণার রোমাঞ্চকর রসায়নেও। টলীপাড়ায় গুঞ্জন, এরকম একাধিক বিস্ফোরক সীন করার সাহসিকতার পরিচয় এর আগে বাংলা বাজারে খুব একটা দেখা যায়নি! দর্শক মুখিয়ে থাকবে অন্য স্বাদের ছবি দেখতে।
সিনেমাটি শেষ করতে সাহায্য করেছেন সৌম্য সরকার এবং প্রমোদ ফিল্মসের কর্ণধার প্রতীক চক্রবর্তী।
প্রতীক চক্রবর্তী বলেন, বাংলায় পাল্প অ্যাকশন কমেডি – এই ধরনের ছবি এর আগে খুব একটা হয়নি। কাজেই এই অন্য ধারার ছবি যাতে বাঙালি দর্শকদের কাছে পৌঁছতে পারে সেজন্যই ছবিটির সমর্থনে দাঁড়িয়েছি।

https://shorturl.fm/J4vO7