স্কটিশ চার্চ কলেজে প্রভুপাদের নামে সেমিনার কক্ষ

Spread the love

ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের সহায়তায় ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্কটিশ চার্চ কলেজে অভয়চরণ দে যিনি এ সি ভক্তিবেদান্ত প্রভুপাদের নামে পরিচিত, তাঁর নামে তৈরি হল একটি সেমিনার কক্ষ। সেমিনার কক্ষের নাম দেওয়া হয়েছে অভয়চরণ সেমিনার হল।স্কটিশ চার্চ কলেজ ভারতের প্রাচীনতম খ্রিস্টীয় প্রতিষ্ঠান,যেখানে কলা , বিজ্ঞান , বাণিজ্য , এবং ব্যবসা বিভাগে স্নাতক স্তর এবং শিক্ষক শিক্ষণ কলেজ। এটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পঞ্চম প্রতিষ্ঠান এবং দ্বিতীয় খ্রিস্টান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত কলেজ।

কলকাতার এই প্রাচীন মহাবিদ্যালয় শিক্ষাপ্রাপ্ত হন অভয়চরণ দে,যিনি ভক্তিবেদান্ত প্রভুপাদ নামে পরবর্তী সময় বিশ্বখ্যাত হন।
প্রভুপাদর মূল সাধনার বিষয় গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্ম দর্শন এবং ইসকন নামক বিশ্ববন্দিত সংস্থানের


প্রতিষ্ঠাতা-আচার্য। তিনি ছিলেন ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী প্রভুপাদের শিষ্য। হিন্দুধর্মের গৌড়ীয় বৈষ্ণব মতবাদটি তিনি কেবল দেশেই নয় সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।
১৯১৬ সালে বি এ পড়ার জন্য তিনি স্কটিশ চার্চ কলেজ ভর্তি হন। লীলামৃত অনুযায়ী তিনি প্রথম বর্ষে ইংরেজি, সংস্কৃত, দ্বিতীয় বর্ষে সংস্কৃত ও দর্শন এবং তৃতীয় বর্ষে দর্শন ও অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেন এই কলেজ থেকে । তাই তাঁর স্মরণে ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের সহযোগিতায় বুধবার স্কটিশ চার্চ কলেজে তাঁর নামাঙ্কিত আলোচনা সভা কক্ষের দ্বারোদঘাটন হল।
ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টার একটি শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান , যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় প্রাচীন সাহিত্য যেমন রামায়ণ,মহাভারত, পুরাণ, দর্শন ও গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্ম নিয়ে গবেষণা করে আসছে। পাশাপাশি বিভিন্ন পুথি ও প্রাচীন বই উদ্ধার,সংরক্ষণ ও পুর্নমূদ্রণ করে আসছে।


স্কটিশ চার্চ কলেজের অধ্যক্ষা মধুমঞ্জরী মন্ডল বলেন,এতবড় মহাপুরুষ তাদের কলেজে পড়াশোনা করেছেন এটা তাদের কাছে খুবই গর্বের বিষয়। তাই তাঁর নামে সেমিনার হল তৈরি করতে পেরে তারা খুশি।
ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন ড. সুমন্ত রুদ্র বলেন,ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের এমন উদ্যোগ ছাত্র,গবেষক, শিক্ষকদের অনুপ্রাণিত করবে।
এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্কটিশ চার্চ কলেজ কাউন্সিলের সভাপতি ও কলকাতার বিশপ রেভারেন্ড পরিতোষ ক্যানিং,
স্কটিশ চার্চ কলেজের উপাধ্যক্ষ ডক্টর সুপ্রতিম দাস প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলকাতা ইস্কনের সহ-সভাপতি রাধারমণ দাস প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *